।। বাহনের অবসর বাসনা ।।
নিতাই চন্দ্র ঘটক, শ্রীরামপুর, ১১ই আশ্বিন, ১৪২১
সিংহ বলেন দুর্গামাকে, কেশর আমার গেল পেকে, লাগাব কলপ যাবে ঢেকে ।
তোমায় বয়ে হলাম ধন্য, প্রার্থনা তোমায় পেনসনের জন্য ।
নিজেই এবার দাঁড়াও দেখি, মর্তের এত হিংসা দেখে হলাম আমি বড়ই দুঃখি।
লক্ষীপাঁচা রাতের পাখী, তিনিই হলেন লক্ষীর বাহন সখী ।
দুষিত পরিবেশ আর সহেনা, অবসর চাই, কোরনা মানা।
ময়ূরের হল ভীষণ জালা , বন্ধ তাঁহার পেখম মেলা ।
বৃক্ষবিহীন ধরাতল হতে আবসর নিয়ে যাবই চলে ।
ওহে কার্তিক , চড়ো এবার ন্যানো বা স্কুটার, পরিবেশ হবে আরো ছাড়খার ।
গণেশ বাবাজির মনটি বড়ই খারাপ ,
ইঁদুর চালায় যন্ত্র-গণক, সইতে হচ্ছে তাই আঙুলের চাপ ।
মাউসবিনে কম্পুটার অচল, সেই মাউসই সঙ্গকরে গণেশ বাবাজি আছেন সচল ।
পরিবেশ চৌপাটে ইঁদুর বাবাজি আছেন আবসর চিন্তায় অটল।
রাজহংস কহেন মা বিদ্যাধারী, আমি তোমার পায়ে পড়ি ।
তোমার বীণার ভার বয়ে হলাম আমি শুধুই বুড়ি ।
ইচ্ছে আমার জলে চড়া, প্রমোটারের জালায় হলেম আমি পাড়া ছাড়া ।
ভাবছি এবার আবসর নিয়ে তোমার সঙ্গছাড়ি , মর্তে তোমার পূজা পন্ডহবে ভারি ।
সেই দুশ্চিন্তায় তাই হচ্ছেনা তোমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি ।
———–
পরিবেশ নিয়ে একটু ভাবুন । সারা কলকাতা নেশার বিজ্ঞাপনে ভরা ।
